পাইরিডক্সিন হাইড্রোক্লোরাইড

নির্দেশনা

  • পাইরডক্সিন এর অভাবজনিত রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসায়
  • সিডারোব্রাস্টিক অ্যানিমিয়া
  • বংশগতভাবে শিশুদের পাইরডক্সিন এর অভাবজনিত বা নির্ভরতাজনিত কারণে খিচুনী
  • মুখে খাওয়ার জন্মনিরোধক ওষুধের ব্যবহার এবং প্রিমেনস্ট্রুয়াল সিনড্রোম এর কারণে বিষন্নতা এবং অন্যান্য উপসর্গে
  • আইসোনিয়াজাইড ব্যবহারের কারণে পেরিফেরাল নিউরাইটিস প্রতিরোধে এবং আইসোনিয়াজাইড টক্সিসিটি এর চিকিৎসায়

ফার্মাকোলজি

পাইরল এ রয়েছে পাইরিডক্সিন হাইড্রোক্লোরাইড যা পানিতে দ্রবণীয় একটি ভিটামিন, মূলত অ্যামিনো এসিড বিপাকের সাথে জড়িত তবে এটি কার্বোহাইট্রেট এবং চর্বি বিপাকের সাথেও জড়িত। এটি হিমোগ্লোবিন গঠনের জন্যও প্রয়োজনীয়। প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে পাইরডক্সিনের ঘাটতি পেরিফেরাল নিউরাইটিসের দিকে ধাবিত করে, শিশুদের মধ্যে ঘাটতিও সিএনএসকে প্রভাবিত করে। মুখে সেবনের পরে পাইরডক্সিন সহজেই পরিপাকতন্ত্র থেকে শোষিত হয় এবং সক্রিয় রূপ পাইরিডক্সাল ফসফেট এবং পাইরিডক্সামিন ফসফেটে রূপান্তরিত হয়।

মাত্রা ও সেবনবিধি

ওরাল ব্যবহারঃ
  • সাধারণ ঘাটতি পূরণে : দৈনিক ১৫০ মিগ্রা (৬ টি ট্যাবলেট) পর্যন্ত
  • সিডারোব্লাস্টিক অ্যানিমিয়া: দৈনিক ৪০০ মিগ্রা (১৬ টি ট্যাবলেট) পর্যন্ত
  • প্রিমেনস্ট্রুয়াল সিনড্রোম : দৈনিক ৫০ মিগ্রা থেকে ১০০ মিগ্রা (২-৪ টি ট্যাবলেট)
পেরিফেরাল নিউরাইটিসঃ
  • প্রতিরোধ: দৈনিক ১০ মিগ্রা থেকে ৫০ মিগ্রা (২ টি ট্যাবলেট)
  • চিকিৎসা: দৈনিক ১০০ মিগ্রা থেকে ২০০ মিগ্রা (৪-৮ টি ট্যাবলেট)

ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া

পাইরিডক্সিন লেভোডোপার কার্যকারীতা কমিয়ে দেয়। আইসোনিকোটিনিক এসিড হাইড্রাজাইড, সাইক্লোসেরিন, পেনিসিলামিন, হাইড্রাজিন, অ্যানোভুলেটরী স্টেরয়েড এর মত বিভিন্ন ওষুধও পাইরিডক্সিনের চাহিদা বাড়িয়ে দিতে পারে।

প্রতিনির্দেশনা

এটি লেভোডোপা (পারকিনসন্স রোগে) সেবনকারী রোগীদের দেওয়া উচিৎ নয়। পাইরিডক্সিন (দৈনিক ৮০-৪০০ মিগ্রা) কিছু রোগীর ক্ষেত্রে ফেনোবারবিটোন বা ফেনাইটোইনের যকৃতের বিপাকক্রিয়াকে ৪০- ৬০% বৃদ্ধি করে বলে জানা গেছে। এটি রক্তরসে ওষুধের ঘনত্ব কমিয়ে দেয়।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

বড় মাত্রায় দীর্ঘমেয়াদে পাইরিডক্সিনের ব্যবহার (দৈনিক ২ গ্রাম) তীব্র পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথী সৃষ্টি করতে পারে। পাইরিডক্সিনের অতিরিক্ত মাত্রা রক্তরসে ফোলেটের ঘনত্ব কমিয়ে দিতে পারে।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে

গর্ভাবস্থায় পাইরিডক্সিন এর প্রয়োজনীয়তা বেড়ে যায়। গর্ভাবস্থায় বমি বমি ভাব ও বমির চিকিৎসায় পাইরিডক্সিন কখনও কখনও মূল্যবান। স্তন্যদানকালে পাইরিডক্সিন এর প্রয়োজনীয়তা বেড়ে যায়। স্তন্যদানকারী মহিলাদের পাইরিডক্সিন দেওয়ার সময় সতর্কতা অবলম্বন করা উচিৎ।

সতর্কতা

পাইরিডক্সিন লেভোডোপার কার্যকারীতা কমায়, কিন্তু ডোপা ডিকার্বেক্সিলেজ ইনহিবিটর সাথে দেওয়া হলে এটি ঘটে না। অনেক ওষুধ পাইরিডক্সিন এর বিপাক বা বায়োএভেইলেবিলিটি পরিবর্তন করতে পারে, যেমন আইসোনিয়াজাইড, পেনিসিলামিন এবং মুখে সেবনের জন্মনিরোধক।

থেরাপিউটিক ক্লাস

Vitamin-B preparations