এলোবিক্সিবেট
নির্দেশনা
এলোবিক্সিবেট দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্যর জন্য নির্দেশিত (জৈব রোগের সাথে যুক্ত কোষ্ঠকাঠিন্য ব্যতীত)।
ফার্মাকোলজি
এলোবিক্সিবেট টার্মিনাল ইলিয়ামের এপিথেলিয়াল কোষে ইলিয়াল বাইল অ্যাসিড ট্রান্সপোর্টার (আইবিএটি) কে দমন করে। এতে বাইল অ্যাসিডের পুনর্শোষণে বাধা প্রদান করে এবং এর ফলে বৃহৎ অস্ত্রের লুমেনে বাইল অ্যাসিডের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। বাইল অ্যাসিড বৃদ্ধির ফলে বৃহৎ অন্ত্রের লুমেনে পানি এবং ইলেক্ট্রোলাইট বৃদ্ধি পায় এবং কোলনিক গতিশিলতা বাড়ায়। এভাবে, কোষ্ঠকাঠিন্যের উপর থেরাপিউটিক প্রভাব সৃষ্টি করে।
মাত্রা ও সেবনবিধি
প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ১০ মি. গ্রা. করে দৈনিক একবার খাবারের আগে সেবন করতে হবে। রোগীর উপসর্গ উপর ভিত্তি করে সর্বোচ্চ ১৫ মি. গ্রা. পর্যন্ত দৈনিক ব্যবহার করা যেতে পারে।
বয়স্কদের ক্ষেত্রে: যেহেতু বয়স্কদের সাধারণত শারীরবৃত্তীয় কার্যকারিতা কমে যায়, সেক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বদন করে যেমন: ওষুধের ডোজ কমিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
শিশুদের ক্ষেত্রে: যেসকল শিশুদের ওজন কম, নবজাতক, নার্সিং শিশু, শিশু রোগীদের নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
বয়স্কদের ক্ষেত্রে: যেহেতু বয়স্কদের সাধারণত শারীরবৃত্তীয় কার্যকারিতা কমে যায়, সেক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বদন করে যেমন: ওষুধের ডোজ কমিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
শিশুদের ক্ষেত্রে: যেসকল শিশুদের ওজন কম, নবজাতক, নার্সিং শিশু, শিশু রোগীদের নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া
নিম্নলিখিত ওষুধের সাথে এলোবিক্সিবেট সতর্কতার সাথে সেবন করতে হবে:
বাইল অ্যাসিড প্রিপারেশন, আরসোডিঅক্সিকোলিক অ্যাসিড, কিনোডিঅক্সিকোলিক অ্যাসিড: ইলিয়াল বাইল অ্যাসিড ট্রান্সপোর্টার (আইবিএটি) এর উপর এলোবিক্সিবেট এর প্রতিরোধমূলক প্রভাব এর কারনে বাইল। অ্যাসিডের প্রিপারেশনের পুনর্শোষণে বাধা প্রদান করে।
অ্যালুমিনিয়ামযুক্ত অ্যান্টাসিড সূ্যালফেট হাইড্রেট, অ্যালডিওক্সা, ইত্যাদি: এ ধরনের ওষুধ গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্টে বাইল অ্যাসিড শোষণ করে এবং এলোবিক্সিবেটের প্রভাবকে কমিয়ে দিতে পারে।
কোলেস্টাইরামাইন, কোলেস্টিমাইড: এ ধরনের ওষুধ বাইল অ্যাসিড শোষণ করে এবং এলোবিক্সিবেটের প্রভাবকে কমিয়ে দিতে পারে।
ডিগক্সিন, ডাবিগাট্রান এটেক্সিলেট মিথেনেসালফোনেট: পি-গাইকোপ্রোটিনের উপর এলোবিক্সিবেটের এর প্রতিরোধক প্রভাবের কারণে রক্তে এই ওষুধের মাত্রা বাড়াতে পারে এবং তাদের প্রভাব বাড়াতে পারে।
মিডাজোলাম: রক্তে মিডাজোলামের মাত্রা হ্রাস পেতে পারে এবং মিডাজোলামের প্রভাব হ্রাস পেতে পারে।
বাইল অ্যাসিড প্রিপারেশন, আরসোডিঅক্সিকোলিক অ্যাসিড, কিনোডিঅক্সিকোলিক অ্যাসিড: ইলিয়াল বাইল অ্যাসিড ট্রান্সপোর্টার (আইবিএটি) এর উপর এলোবিক্সিবেট এর প্রতিরোধমূলক প্রভাব এর কারনে বাইল। অ্যাসিডের প্রিপারেশনের পুনর্শোষণে বাধা প্রদান করে।
অ্যালুমিনিয়ামযুক্ত অ্যান্টাসিড সূ্যালফেট হাইড্রেট, অ্যালডিওক্সা, ইত্যাদি: এ ধরনের ওষুধ গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্টে বাইল অ্যাসিড শোষণ করে এবং এলোবিক্সিবেটের প্রভাবকে কমিয়ে দিতে পারে।
কোলেস্টাইরামাইন, কোলেস্টিমাইড: এ ধরনের ওষুধ বাইল অ্যাসিড শোষণ করে এবং এলোবিক্সিবেটের প্রভাবকে কমিয়ে দিতে পারে।
ডিগক্সিন, ডাবিগাট্রান এটেক্সিলেট মিথেনেসালফোনেট: পি-গাইকোপ্রোটিনের উপর এলোবিক্সিবেটের এর প্রতিরোধক প্রভাবের কারণে রক্তে এই ওষুধের মাত্রা বাড়াতে পারে এবং তাদের প্রভাব বাড়াতে পারে।
মিডাজোলাম: রক্তে মিডাজোলামের মাত্রা হ্রাস পেতে পারে এবং মিডাজোলামের প্রভাব হ্রাস পেতে পারে।
প্রতিনির্দেশনা
- এলোবিক্সিবেটের যেকোনো উপাদানের প্রতি অতি সংবেদনশীলতা থাকলে এটি ব্যবহার করা যাবে না।
- রোগীর টিউমার বা হার্নিয়ার সাথে সম্পৃক্ত নথিভুক্ত অস্ত্রে বাধাগ্রস্ত থাকলে এটি ব্যাবহার করা যাবে না। অস্ত্রের প্রতিবন্ধকতা আরও বেড়ে যেতে পারে।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
সাধারণত, দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য রোগীদের মধ্যে এলোবিক্সিবেট ভালভাবে সহসহনীয়। ক্লিনিকাল স্টাডিতে, পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে পেটে ব্যথা, ডায়রিয়া, বমি বমি ভাব, পেটে অস্বস্তি, নরম মল, পেট ফাঁপা, লিভার ফাংশন পরীক্ষার অস্বাভাবিকতা। যদি লিভার ফাংশন পরীক্ষায় অস্বাভাবিকতা সনাক্ত হয় তবে রোগীর লক্ষণ সমূহ সাবধানে পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং প্রয়োজনে এলোবিক্সিবেট বন্ধ করতে হবে।
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে
গর্ভাবস্থায় ব্যবহার: ওষুধটি সেবনের পূর্বে অবশ্যই গর্ভবতী মহিলাদের অথবা গর্ভধারনের পরিকল্পনা করছে এমন মহিলাদের ক্ষেত্রে থেরাপিউটিক সুবিধার সাথে চিকিৎসা সাথে সম্ভাব্য ঝুঁকি বিবেচনা করতে হবে ।
স্তন্যদানকালীন সময়ে: স্তন্যদানকালীন সময়ে এলোবিক্সিবেট ব্যবহার করা যাবে না। এলোবিক্সিবেট দিয়ে চিকিৎসা অপরিহার্য হলে, চিকিৎসা সময় বুকের দুধ খাওয়ানো বন্ধ রাখতে হবে।
স্তন্যদানকালীন সময়ে: স্তন্যদানকালীন সময়ে এলোবিক্সিবেট ব্যবহার করা যাবে না। এলোবিক্সিবেট দিয়ে চিকিৎসা অপরিহার্য হলে, চিকিৎসা সময় বুকের দুধ খাওয়ানো বন্ধ রাখতে হবে।
সতর্কতা
নির্দেশনা সম্পর্কিত সতর্কতা: ওষুধ-প্ররোচিত এবং রোগ-জনিত কোষ্ঠকাঠিন্যে ব্যবহারের কোন ক্লিনিকাল অভিজ্ঞতা নেই।
মাত্রা এবং সেবন সংক্রান্ত সতর্কতা: এলোবিক্সিবেট পেটে ব্যথা বা ডায়রিয়া হতে পারে; রোগীর লক্ষণের উপর। নির্ভর করে ডোজ হ্রাস, ওষুধ প্রত্যাহার বা বন্ধ করার বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত এবং লক্ষ্যহীন সেবন এড়াতে এলোবিক্সিবেট-এর সাথে চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা নিয়মিত মূল্যায়ন করা উচিত।
সতর্কতার সাথে ব্যবহার: রোগীদের পিত্তথলির বাধা বা বাইল অ্যাসিড নিঃসরণ হ্রাস পেলে, এলোবিক্সিবেটের প্রত্যাশিত কার্যকারিতা পাওয়া যাবে না।
মাত্রা এবং সেবন সংক্রান্ত সতর্কতা: এলোবিক্সিবেট পেটে ব্যথা বা ডায়রিয়া হতে পারে; রোগীর লক্ষণের উপর। নির্ভর করে ডোজ হ্রাস, ওষুধ প্রত্যাহার বা বন্ধ করার বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত এবং লক্ষ্যহীন সেবন এড়াতে এলোবিক্সিবেট-এর সাথে চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা নিয়মিত মূল্যায়ন করা উচিত।
সতর্কতার সাথে ব্যবহার: রোগীদের পিত্তথলির বাধা বা বাইল অ্যাসিড নিঃসরণ হ্রাস পেলে, এলোবিক্সিবেটের প্রত্যাশিত কার্যকারিতা পাওয়া যাবে না।
মাত্রাধিক্যতা
ওষুধের মাত্রাধিক্য কোন তথ্য নেই, ওষুধের নির্দেশিত ডোজ অতিক্রম করা যাবে না।
থেরাপিউটিক ক্লাস
Osmotic purgatives
সংরক্ষণ
২৫° সে. এর উপরে সংরক্ষণ করা যাবে না। আলো থেকে দূরে রাখুন। ওষুধ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।